বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহ সর্বশক্তিমান
কলেজ প্রতিষ্ঠার তারিখ : ১৪ই জানুয়ারি ২০১০ খ্রি., রােজ- বৃহস্পতিবার। আনুষ্ঠানিকভাবে কলেজের পাঠদান। শুরু করা হয় ১লা জুলাই ২০১০ খ্রি. থেকে।
কলেজ প্রতিষ্ঠাতা: বীর মুক্তিযােদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন (সাবেক এম.পি, নারায়ণগঞ্জ-৪)।
প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের নাম: (১) মুহাম্মদ আবুল হাসেম মিয়া, (২) মােসা. ইয়াতুননেছা, (৩) রেশমা বেগম, (৪) তােহফিজা বেগম, (৫) জি.এম. ফয়সাল, (৬) জি.এম. সাদরিল, (৭) জি.এম. কায়সার, (৮) জি.এম. সানভীর।
প্রতিষ্ঠানের অবস্থান: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুক্তিস্মরণি গেইট থেকে আনুমানিক ৪৫০ফুট দক্ষিণ পার্শ্বে, ডেমরানারায়ণগঞ্জ রােডের আনুমানিক ৬০০ ফুট পশ্চিম পার্শ্বে, হিরাঝিল এলাকার রােড নম্বর-০২ এর উত্তর পার্শ্বে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থান।
আদমজী। ই.পি.জে নারায়ণগঞ্জ রোড।
রােড # ০২।
নারায়ণগঞ্জ লিংক রােড
নারায়ণগঞ্জ (পোস্তগোলা) হিরাঝিল রোড
ঢাকা রােড চিটাগাংরোড কাঁচপুর ব্রিজ ডেমরা রােড।
লােকেশন ম্যাপ কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য:
১। মহান আল্লাহপাক আমাদের যে শিক্ষা লাভ করার এবং তা অন্যান্যদের মাঝে বিস্তার করার সামর্থ দান করেছেন তা যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তােলা।
২। সিদ্ধিরগঞ্জ এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের একটি মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উপহার দেওয়া।
৩। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে স্রষ্টার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস, অবিচল আস্থা এবং স্বচ্ছ আকীদা সৃষ্টির মাধ্যমে নিষ্কলুষ চরিত্র গঠনের প্রেরণা দান করে ইহকাল এবং প্রকালের কল্যাণের শিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশ এবং জাতির নিঃস্বার্থ সেবায় আত্মনিয়ােগকারী হিসেবে গড়ে তােলার মধ্য দিয়ে মহান আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি অর্জন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য।
কলেজের মনােগ্রাম এর বিভিন্ন অংশের বিশ্লেষণ: আল্লাহ সর্বশক্তিমান। সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও অবিচল আস্থা রেখে তার প্রশংসা করা। মনােগ্রামের ১নং চিত্র দ্বারা এই বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।
Glob: বর্তমান যুগ বিশ্বায়নের যুগ। বিশ্বায়নের এই যুগে পৃথিবীর পরিধি দিন দিন ছােট থেকে ছােট হয়ে আসছে। সামাজিক বিশ্বায়ন, রাজনৈতিক বিশ্বায়ন, সাংস্কৃতিক বিশ্বায়ন এবং অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের দিক থেকে পৃথিবীর পরিসীমা অতিশয় ছােট হয়ে আসছে। বিশ্বায়নের এই ছোঁয়া গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজেও বিদ্যমান।
কম্পিউটার: অত্যাধুনিক যুগে সর্বত্র বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। তথ্য-প্রযুক্তি আজ পৃথিবীকে অনেক অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। চলমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলার জন্য কম্পিউটার শিক্ষার কোনাে বিকল্প নেই। কম্পিউটার শিক্ষার অভিনব সংযােজন এখানে। তুলে ধরা হয়েছে।
বই: বই জ্ঞানের ভাণ্ডার। মানুষের সীমিত জ্ঞানকে প্রসারিত করার জন্য বই পড়ার কোনাে। বিকল্প নেই। জ্ঞানের শীর্ষ চূড়ায় পৌছাতে বই অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা পালন করে। মনােগ্রামের অংশে উক্ত বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
সূর্য: নব অরুণােদয় সূর্য যেমন অন্ধকার পৃথিবীকে আলােকিত করে, তেমনি নব সূর্যের আলােকচ্ছটার মতাে ছাত্র-ছাত্রীদের মনে জ্ঞানের আলাে ফুটিয়ে তােলার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়েছে মনােগ্রামের এ অংশের মাধ্যমে।
গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজ: সকল ক্ষমতার অধিকারী মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি বিধানের লক্ষ্যে পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় নিতে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ সাধনের জন্য জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে জ্ঞানের আলাে ছড়িয়ে দেওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে প্রতিষ্ঠিত গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল। কলেজ।
জাতীয় সঙ্গীত
আমার সােনার বাংলা, আমি তােমায় ভালােবাসি।
চিরদিন তােমার আকাশ, তােমার বাতাস,
আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি ॥
ওমা, ফাগুনে তাের আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
,মরি হায়, হায় রে
ও মা,অঘ্রাণে তাের ভরা ক্ষেতে
আমি কী দেখেছি মধুর হাসি ॥
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
শিক্ষার্থীদের প্রার্থনা
হে প্রভু....
হে প্রভু-তুমি আমাদের জ্ঞান বাড়িয়ে দাও
তােমাকে চেনার, তােমাকে জানার।
তােমার আদেশ তােমার নিষেধ। মেনে চলার হে প্রভু-ঐ
যে শিক্ষা চরিত্র গঠন করে
যে শিক্ষা মানবিকগুণ বৃদ্ধি করে..
সে শিক্ষা দাও- হে প্রভু
তুমি আমাদের জ্ঞান বাড়িয়ে দাও...] ঐ
যে শিক্ষা সার্বজনীন কল্যাণময়
যে শিক্ষা ইহ-পরকালের কল্যাণ হয়..
সে শিক্ষা দাও- হে প্রভু
তুমি আমাদের জ্ঞান বাড়িয়ে দাও.
কলেজ উপদেষ্টা কমিটির সম্মানিত সদস্যদের তালিকা:
নং | নাম | ঠিকানা |
০১ | প্রফেসর দীপক কুমার নাগ | প্রাক্তন অধ্যক্ষ, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকা। |
০২ | প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম | পরিচালক, আইআইসিটি বিভাগ, বুয়েট। |
০৩ | প্রফেসর ড. মাহফুজুল হক | ব্যবসায় অনুষদ, একাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। |
০৪ | আলহাজ্ব মাে. বাহালুল হক চৌধুরী | পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। |
০৫ | ড. মাে. হাবিবুর রহমান | শিক্ষানুরাগী, হিরাঝিল, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ |
০৬ | ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব মাে. আহসান উল্লাহ্ | শিক্ষানুরাগী, মিজমিজি, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। |
০৭ | আলহাজ্ব মাে. আব্দুল হাই | শিক্ষানুরাগী, কাঁচপুর, সােনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ। |
০৮ | আলহাজ্ব মাে. ফজলুল হক | শিক্ষানুরাগী, মিজমিজি, সিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। |
০৯ | রুনা লায়লা | শিক্ষানুরাগী, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। |
১০ | মাে. জাহাঙ্গীর আলম | শিক্ষানুরাগী, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। |
১১ | ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল আতাহার হােসেন | শিক্ষানুরাগী, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। |
১২ | সারিহা বেগম | শিক্ষানুরাগী, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। |
ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া এবং নৈতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য:
নিম্নে কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলাে:
১। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় ইহকাল এবং পরকালের কল্যাণের শিক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তােলার।
২। আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় এবং নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া।
৩। কোরআন, হাদিস এবং নামাজ-রােজা শিক্ষার ব্যবস্থা।
৪। অন্যান্য ধমীয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তাদের ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা।
৫। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা।
৬। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা।
৭। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দিবসগুলােতে ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে নানা প্রকার অনুষ্ঠানমালা।
৮৷ পাঠ্যপুস্তকের পড়ালেখার পাশাপাশি সহপাঠ কার্যক্রমে ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ও | প্রতিযােগিতার ব্যবস্থা।
৯৷ বিষয়ভিত্তিক সেমিনার, আলোচনা সভা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে প্রতিযােগিতার ব্যবস্থা।
১০। পড়ালেখার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের সেবাশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযােগ।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমণ্ডলী
শিক্ষা ঋণপ্রকল্প
প্রকল্পের কার্যক্রম:
* আর্থিক সংকটের কারণে এই কলেজের যে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া-লেখা করতে সমস্য হয়। তাদের সহযােগিতা করার জন্য সুদমুক্ত এবং জামানত মুক্ত “শিক্ষা ঋণ প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
* এই ঋণ প্রদানে জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী ঋণ নিতে আগ্রহী হলে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে পারবে।
* ঋণ আবেদন বিবেচনা করে ঋণ মঞ্জুর করার জন্য একটি কমিটি রয়েছে। ঐ কমিটি ঋণ। আবেদন বিবেচনা করে ঋণ ব্রাদ্দ করবে।
* এই কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এইচ.এস.সি. পাস করার উচ্চ শিক্ষার জন্যও এই প্রকল্প থেকে ঋণ | গ্রহণ করতে পারবে। তবে ঋণ প্রদানের প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী ঋণ প্রদান করা হবে।
* অভিভাবক অথবা ঋণ গ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রী স্বাবলম্বী হওয়ার পর এককালীন অথবা কিস্তিতে ঋণ। পরিশোধ করতে পারবে।
প্রকল্প গ্রহণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
১। যে সকল ছাত্র-ছাত্রীর পড়ালেখা করার আগ্রহ আছে অথচ অর্থসংকটের কারণে পড়ালেখা করা | সম্ভব হবে না তাদের পড়ালেখা করার সুযােগ করে দেওয়া।
২। যে সকল ছাত্র-ছাত্রী কলেজ থেকে ফ্রি/হাফ ফ্রি সুযােগ নিয়ে পড়ালেখা করতে লজ্জাবােধ, ইতস্ততবােধ করে তাদের আত্মমর্যাদা নিয়ে সহপাঠিদের সাথে পড়ালেখা করার সুযােগ দেওয়া।
৩। পড়ালেখা করার প্রতি আগ্রহী ও মনােযােগী করে তােলা।
৪। ঋণ পাওয়ার যােগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে ভালাে ফল করার সচেষ্ট হওয়া।
• বিজ্ঞান
• মানবিক
• ব্যবসায় শিক্ষা
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবাের্ড ঢাকা কর্তৃক অনুমােদিত বিষয়সমূহ:
বিভাগ - বিজ্ঞান
আবশ্যিক বিষয়: নৈর্ব্যচনিক ও ঐচ্ছিক বিষয়সমূহ:
১. বাংলা ১. উচ্চতর গণিত
২. ইংরেজি ২. জীববিজ্ঞান
৩. পদার্থবিজ্ঞান (১টি ঐচ্ছিক বিষয় ও ১টি নৈর্ব্যচনিক বাছাই করে নিতে হবে)
৪. রসায়ন
৫. তথ্য ও যোগাযােগ প্রযুক্তি
বিভাগ - মানবিক
আবশ্যিক বিষয়: নৈর্ব্যচনিক ও ঐচ্ছিক বিষয়সমূহ:
১. বাংলা ১. সমাজ কর্ম
২. ইংরেজি ২. অর্থনীতি
৩. ভূগোল (১টি ঐচ্ছিক বিষয় বাছাই করে নিতে হবে)
৪. পৌরনীতি ও সুশাসন
৫. তথ্য ও যোগাযােগ প্রযুক্তি
বিভাগ-ব্যবসায় শিক্ষা
আবশ্যিক বিষয়: নৈর্ব্যচনিক বিষয়সমূহ:
১. বাংলা ১. উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন
২. ইংরেজি ২. ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা
৪. রসায়ন ঐচ্ছিক : পরিসংখ্যান
৫. তথ্য ও যোগাযােগ প্রযুক্তি
১। বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে আসন সংখ্যা নির্ধারিত।
২। বাের্ডের নির্ধারিত নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
৩। ভর্তি ফরম গ্রহণ ও দাখিল করার সময় নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানাে হয়।
৪। নির্ধারিত ভর্তি ফরম সংগ্রহ করে তা যথাযথভাবে পূরণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট দাখিল করতে হবে।
৫। ভর্তি ফরম ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
৬। নির্ধারিত ভর্তি ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে প্রয়ােজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে ভর্তি ফি দিয়ে ভর্তি হতে হবে।
৭। ভর্তির পর বিভাগ বা কোনাে বিষয় পরিবর্তন করতে চাইলে বাের্ডের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে।
ক) প্রশংসা পত্র: একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য এস.এস.সি./সমমান পাসের প্রশংসা পত্রের। মূল কপি ও ১টি সত্যায়িত অনুলিপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
খ) মার্কশীট: একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য এস.এস.সি. / সমমান পাসের মার্কশীটের মূল কপি। ও ১টি সত্যায়িত অনুলিপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
গ) রেজিস্ট্রেশন কার্ড: একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য এস.এস.সি./সমমান পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ১টি সত্যায়িত অনুলিপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
ঘ) প্রবেশপত্র: একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য এস.এস.সি./সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্রের ১টি সত্যায়িত অনুলিপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
ঙ) ছবি: ৫ (পাঁচ) কপি পাসপাের্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
একজন ভালাে ছাত্র ও আর্দশ মানুষ তৈরীর জন্য গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিম্নোক্ত নিয়মাবলি পালনের জন্য অঙ্গীকার প্রদানপূর্বক ভর্তি হতে হয়।
(সাধারণ নিয়মাবলি:)
১। নিয়মিত কলেজে উপস্থিত থাকবাে ও সকল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবাে। কোনাে রকম ফাঁকি দিব না।
২। সকল বিষয়ের পড়া শিখে আসবাে। কলেজে অনুপস্থিত থাকলে কিংবা পড়া শিখে না আসলে | পরবর্তীতে নির্ধারিত ডিটেনশন ক্লাস করতে বাধ্য থাকবাে।
৩। নিয়মিত চুল ও নখ কাটবাে, ইসলামী বিধান মােতাবেক দাড়ি না রাখলে সেভ করবাে | (ছেলেদের ক্ষেত্রে), চুল বেণী করে আসবাে (মেয়েদের ক্ষেত্রে) এবং চুল কালাে কালার | ব্যতীত অন্য কোনাে কালার করা যাবে না।
৪। ব্ল্যাক-সু, ব্ল্যাকবেল্ট, স্কুলের নির্ধারিত ইউনিফর্ম, আইডি কার্ড পরিধান করবাে। প্রতিদিন। | প্রয়ােজনীয় শিক্ষা উপকরণসমূহ যেমন- ব্যাগ, স্কেল, ক্যালকুলেটর ও অন্যান্য প্রয়ােজনীয়। শিক্ষা উপকরণ নিয়ে আসবাে।
৫। লেখাপড়ার স্বার্থে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত শিক্ষকদের সকল পরামর্শ, আদেশ ও নির্দেশ। | মেনে চলবাে। এমনকি প্রয়ােজনে হলে হােস্টেলে থাকতে হলে তাও থাকবাে।
৬। অভিভাবক দিবসে অন্য কোনাে প্রয়ােজনে পিতা মাতাকে (পিতা-মাতার অবর্তমানে আইনানুগ। | অভিভাবককে) উপস্থিত করবাে। প্রতারণামূলকভাবে অন্য কাউকে অভিভাবক হিসেবে আনবাে না
৭। আমার যে কোনাে অনিয়মের জন্য কলেজের নির্ধারিত সিদ্ধান্ত আমি ও অভিভাবককে মেনে। নিবাে। প্রথমবার বলে মাফ পাওয়ার জন্য কোনাে আবেদন করবাে না। কিংবা কারও দ্বারা | কোনাে প্রকার সুপারিশ করবাে না।
৮৷ ছুটির পর ক্যাম্পাসের সামনে, পার্কে, রেস্টুরেন্টে কোনাে প্রকার জটলা সৃষ্টি করবাে না।
৯। ভর্তির সময় ৩য় ও ৪র্থ বিষয় হিসেবে যে বিষয় নির্বাচন করেছি পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করবাে না। আর যদি পরিবর্তন করি তার জন্য রেজিস্ট্রেশন বা বাের্ড পরীক্ষায় কোনাে সমস্যা হলে কলেজ কর্তৃপক্ষকে কোনােরূপ দায়ী করবাে না এবং নিজ দায়িত্বে সমস্যার সমাধান করে নিবাে।
১০। বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে কিংবা উৰ্ত্তীণ না হলে পুনরায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবাে এবং টেস্ট পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে কিংবা বাের্ডের নিয়ম অনুযায়ী অকৃতকার্য হলে উচ্চ মাধ্যমিক বাের্ড পরীক্ষায় ফরম ফিলাপের জন্য কোনােভাবেই আবেদন করবাে না বা কারাে দ্বারা সুপারিশ করবাে না। পরবর্তী বছর। নিয়মিত ক্লাস করে নির্বাচনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবাে।
১১। অভ্যন্তরীণ ও বাের্ডের সকল পরীক্ষার সময় অসুস্থ থাকলে সিক বেডে শ্রীক্ষায় অংশগ্রহণ করবাে।
সম্মানিত অভিভাবকদের প্রতি অনুরােধ
১| ছাত্র-ছাত্রীর ফাইলে উল্লিখিত আপনাদের ঠিকানা ও ফোন নম্বর কোনো কারণে পরিবর্তন হলে তা দ্রুত কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন।
2| কলেজ কর্তপক্ষের সাথে বিশেষ করে শ্রেণিশিক্ষক, গাইডশিক্ষকের সাথে নিয়মিত যোগাযােগ রাখুন।
৩। প্রতিনিয়ত সন্তানের / পােষ্যের লেখাপড়ার খোঁজ-খবর নিবেন যাতে তারা সতর্ক থাকে ও লেখাপড়ায় উৎসাহী ও মনােযােগী হয়।
৪। কোনাে ছাত্র ছাত্রী বাসায় ফিরতে বিলম্ব করলে তাৎক্ষনিকভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন এবং প্রয়োজনে সাহায্য নিন।
৫। ছাত্র-ছাত্রীর আচরণে কোনাে সমস্যা থাকলে কিংবা বাসায় নিয়মিত লেখাপড়া না করলে অথবা আপনাদের বা সন্তানের ব্যক্তিগত কোনাে সমস্যা থাকলে দ্রুত তা সমাধান করে ফেলুন। প্রয়ােজনে কলেজ কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিন।
৬। ছাত্র-ছাত্রীর কোনাে অপরাধমূলক কাজ গোপন না রেখে তা দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থা নিন। অন্যথায় আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে পারে।
৭। কলেজ থেকে যে কোনাে প্রয়োজনে আহ্বান জানানাে হলে দ্রুত সহযােগিতা করুন। অভিভাবক | দিবসে পিতা বা মাতা কমপক্ষে একজন উপস্থিত থাকবেন।
৮। ছাত্রদের চুল ছােট রাখা, পোশাক পরিচ্ছন্ন রাখা, ধূমপান থেকে বিরত থাকা, নিয়মিত লেখাপড়া করা, সময়মতাে কলেজে আসা ও কলেজ থেকে বাসায় ফেরা এসব বিষয়গুলাের প্রতি লক্ষ্য | রাখুন। সন্তানকে ভালাে ফল অর্জনে সব সময় উৎসাহিত করুন।
৯। যে কোনাে পরীক্ষার পর ফল কলেজ থেকে জেনে নিন।
১০। ছাত্র-ছাত্রীকে মােবাইল ফোন ও কম্পিউটার ব্যবহার বিষয়ে সতর্ক থাকুন এবং এন্ড্রয়েড | মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত রাখুন।
১১। কলেজের নির্ধারিত রশিদ ছাড়া কোনো প্রকার ফি প্রদান করবেন না। ফি সম্পর্কিত যে কোনাে বিষয় কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিন। কলেজের যাতায়াত ও টিফিন খরচ বাবদ প্রয়ােজনীয় অর্থ হিসাব করে প্রদান করুন। মনে রাখবেন, প্রয়ােজনের অতিরিক্ত অর্থ আপনার সন্তানকে বিপথগামী করতে পারে। ১২। আদর-সোহাগ করার পাশাপাশি সন্তানকে শাসনে রাখবেন।
১৩। আপনার সন্তানের বন্ধু-বান্ধবদের খোঁজ-খবর নিবেন এবং অসৎ-সঙ্গ ত্যাগ করে চলতে বাধ্য করবেন।
কলেজ ইউনিফর্ম
কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পোশাকের ধরণ ও পরিচয়পত্র কলেজ কর্তৃক বিশেষভাবে সু-নির্দিষ্ট রয়েছে। ক্লাস করা, পরীক্ষা দেওয়া বা যে কোনো কাজে কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থানকালে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা। কলেজ ইউনিফর্ম পরিধান করা বাধ্যতামূলক। এমনকি বোর্ড চূড়ান্ত পরীক্ষাসমূহ যা অন্য কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় সেক্ষেত্রেও কলেজ ইউনিফর্ম পরিধান করে রীক্ষায় অংশগ্রহণ করা অত্যাবশ্যক।
ক) ছাত্রদের জন্য নির্ধারিত ড্রেস: কালাে ফুল প্যান্ট (প্যান্ট টাকনুর উপর পর্যন্ত হতে হবে), কালাে শার্ট, কালাে টাই, কালাে বেল্ট, কালাে সু। শীতকালে ছেলেরা কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত কালাে সােয়েটার পরতে পরবে। অবশ্যই কলেজ আইডি কার্ড ব্যবহার করতে হবে।
খ) ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত ড্রেস: ছাত্রীদের জন্য কালাে সেলােয়ার, কালাে ফুল এপ্রােন, কালাে সু, কালাে স্কার্ফ। (সেলােয়ার টাকনুর নিচ পর্যন্ত হতে হবে, আটিসাঠ এবং পাতলা কাপড়ের পােশাক পরিধান করা যাবে না।) শীতকালে মেয়েরা কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত কালাে সােয়েটার পরতে পারবে।। অবশ্যই কলেজ আইডি কার্ড ব্যবহার করতে হবে।
শ্রেণিকক্ষ ও কলেজ ক্যাম্পাসে আচরণ:
ক. কলেজে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতির হার ১০০% হওয়া কাম্য। আমরা আশা করি, প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী ১০০% ক্লাসে উপস্থিত থাকবে।
খ. থিওরী ক্লাস শুরু হবার পর সংশ্লিষ্ট দিবসের সকল ক্লাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীকে | কলেজ ক্যাম্পাসে থাকতে হবে। টিফিন পিরিয়ডেও ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে পারবে না।
গ. কলেজে স্মার্ট মােবাইল ফোন বাধ্যতামূলক নিষিদ্ধ। প্রয়ােজনে অভিভাবকদের সাথে যােগাযােগ রক্ষার্থে অতি সাধারণ মােবাইল ফোন কলেজে আনতে পারবে। কিন্তু ক্লাস রুম, পরীক্ষার হল ও ল্যাবে ব্যবহার করা যাবে না। হ্যান্ডিক্যাম ও স্মার্ট মােবাইল ফোন কলেজে আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ধরনের ক্যামেরা ও মােবাইল কোনাে ছাত্র-ছাত্রীর কাছে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা। নেয়া হবে। উক্ত মােবাইল ফোন সঙ্গে সঙ্গে ভেঙ্গে অথবা কলেজের পুকুরে নিক্ষেপ করা হবে।
ঘ. কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধান করে কলেজে আসা বাধ্যতামূলক। ইউনিফর্ম শুধু বাহ্যিক কোনাে পােশাক নয়। ইউনিফর্ম মানুষের আত্মােপলদ্ধি বাড়িয়ে দায়িত্ববােধ সচেতন করে তােলে যা তার আচরণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। তাই ছাত্র-ছাত্রীরা ইউনিফর্মটিকে সেভাবেই গুরুত্ব প্রদান করবে। | সার্বক্ষণিকভাবে আইডি কার্ডটি নির্ধারিত ফিতাসহযােগে গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
ঙ. পাঠদান ও পাঠগ্রহণের জন্য নীরব ও শান্ত পরিবেশ দরকার। সুতরাং এরূপ পরিবেশ রক্ষার জন্য | কলেজ ক্যাম্পাস, কলেজ করিডাের এবং ক্লাসরুমে হৈ চৈ, চিৎকার বা শব্দ করা একেবারেই | নিষিদ্ধ। পাঠদানের সময় অপ্রয়ােজনীয় কথা বলে শিক্ষককে বিরক্ত করা কাম্য নয়।
চ. কোনাে ছাত্র বা ছাত্রী অসুস্থতার কারণে কলেজে আসতে না পারলে, অতিসতুর অভিভাবক | ব্যক্তিগতভাবে অথবা টেলিফোনের মাধ্যমে কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। অন্যথায় | অনুপস্থিতির মার্জনা বিবেচনা করা হবে না।
ছ. অপরিচিত কারাে প্ররোচনায় কলেজের বাইরে বা কলেজের আশেপাশে কোনাে অপরিচিত জায়গায় যাওয়া থেকে বিরত থাকবে।
জ. শিক্ষক হাজিরা খাতায় (Attendance Register) নাম ডাকার সময় ছাত্র-ছাত্রীকে অবশ্যই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং যথানিয়মে নিজের উপস্থিতি প্রদান করতে হবে। কোনাে ছাত্রছাত্রী অনুপস্থিতি কারাে নামে উপস্থিতির প্রক্সি দিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঝ. ক্লাস চলাকালে বিশেষ কারণ ছাড়া এবং শিক্ষকের বিনা অনুমতিতে শ্রেণিকক্ষের বাইরে যাওয়া | সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আবার শিক্ষক/শিক্ষিকার অনুমতি ছাড়া কেউ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশও করতে পারবে না।
ঞ. ক্লাস শুরুর ঘণ্টা বাজার পাঁচ মিনিটের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে না এলে শ্রেণি প্রতিনিধি এই সম্পর্কে উপাধ্যক্ষ অথবা অধ্যক্ষ মহােদয়কে অবহিত করবে। এ সময় ছাত্র-ছাত্রীরা শ্রেণিকক্ষে নিবরতা বজায় রেখে নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করতে থাকবে যাতে পার্শ্ববর্তী শ্রেণিকক্ষের ছাত্রী-ছাত্রীদের | কোনােরূপ অসুবিধা না হয়।
ট. ক্লাস শুরু হওয়ার দশ মিনিটের মধ্যে কোনাে ছাত্র-ছাত্রী শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ না করলে সে অনুপস্থিত | হিসেবে গণ্য হবে এবং হাজিরা খাতায় তাকে অনুপস্থিত হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
ঠ. শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া কোনাে ছাত্র-ছাত্রী হােয়াইট বাের্ড ও মার্কার ব্যবহার করতে পারবে না।
ড. প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী তাদের নিজ শ্রেণিকক্ষ ও নিকটবর্তী দেয়াল পরিষ্কার রাখবে। কোনাে | শ্রেণিকক্ষ বা নিকটবর্তী দেয়ালে কোনাে লেখা পাওয়া গেলে ঐ শ্রেণিকক্ষের ছাত্র-ছাত্রীকেই দায়ী করা হবে।
ঢ. কলেজ ক্যাম্পাসে থাকাকালে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী অবশ্যই তার পরিচয়পত্র গলায়। | বলিয়ে রাখবে। যাতে তাকে সহজেই ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
ণ. কাস চলাকালীন সকল ছাত্র-ছাত্রী ক্লাসরুমের মধ্যে অবস্থান করবে। এ সময় কারাে বারান্দায়। | অবস্থান কাম্য নয়।
ত. ক্লাস চলাকালে ছাত্র-ছাত্রী ক্যান্টিনে, ক্যাম্পাসে, এমনকি লাইব্রেরিতেও অবস্থান করতে পারবে না।
থ. কলেজে বইপত্র, খাতা কলম ছাড়া কোনাে অপ্রয়ােজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আসা যাবে না। বই পুস্তক ও খাতাপত্র আনার জন্য ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
দ. ক্লাসে, কলেজ ক্যাম্পাসে বা ক্যাম্পাসের বাইরে কলেজের কোনাে ছাত্র-ছাত্রীর কোনাে ধরনের মারামারি বা গোলযােগে সংশ্লিষ্টতা কাম্য নয়। কোনাে প্রকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠদান পদ্ধতি:
কলেজ প্রদত্ত কোর্সসমূহ নির্দিষ্ট সময়ে যথাযথভাবে সুসম্পন্ন করা এবং বাস্তব জীবনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযােগিতায় ছাত্রছাত্রীদের উপযােগী করে গড়ে তােলার লক্ষ্যে গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজে রয়েছে একটি ও পরীক্ষিত পাঠদান প্রদ্ধতি। এই পাঠদান পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নে সংক্ষেপে বর্ণিত হলাে:
ক. কোর্সসমূহের বিন্যাস: প্রতিটি কোর্সকে একাধিক সিমেস্টারে ভাগ করে পুস্তিকাকারে | শিক্ষাবর্ষের শুরুত্বেই ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেয়া হয় যাতে তারা পুরাে কোর্স, সেমিস্টার, কুইজ ও টিউটোরিয়ার পরীক্ষা সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারে।
খ. শ্রেণিকক্ষে পাঠদান: দু’টি লক্ষ্যকে সামনে রেখে শিক্ষক শ্রেণিতে পাঠদান করে থাকেন।
১. নির্দিষ্ট সময়ে কোর্স সম্পন্ন করা,
২. প্রতিটি ছাত্রছাত্রী পুরাে কোর্সটি সম্যকভাবে উপলদ্ধি করতে পেরেছে কিনা তার নিশ্চয়তা। বিধান করা। এ লক্ষ্যে শিক্ষকগণ লেকচারের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের প্রয়ােজনমাফিক তথ্য | ও লেকচার সিনােপসিস সরবরাহ করে থাকেন। ছাত্রছাত্রীদের অগ্রগতি মূল্যায়নের লক্ষ্যে ক্লাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রশ্নোত্তরের জন্য রাখা হয়।
গ. ক্লাসের সময়সীমা ও সংখ্যা: কোর্সের পরিধি ও শিক্ষার্থীদের গ্রহণ ক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ক্লাসের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয় এবং ক্লাসের গুরুত্বেই কোর্স আউট লাইনের মাধ্যমে ক্লাস সংখ্যা জানিয়ে দেয়া হয়। প্রতিটি ক্লাসের সময়সীমা ৪৫ মিনিট।
ঘ. ছাত্র শিক্ষক অনুপাত: পাঠদানকে ফলপ্রসূ অধিকতর কার্যকরী এবং ছাত্র-শিক্ষকের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে রাখা হয়েছে।
ঙ. সেকশনসমূহের পুনঃবিন্যাস: অতীতের অভিজ্ঞতার আলােকে দেখা গিয়েছে সমস্তরের | মেধাসম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গঠিত সেকশনসমূহের লেখাপড়া ভালাে হয় এবং | প্রতিযােগিতামূলক মনােভাব বৃদ্ধি পায়। এজন্য উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মেধা যাচাই ও প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে প্রয়ােজনে সেকশন পুনঃবিন্যাস করা হয়।
চ. অতিরিক্ত বিশেষ ক্লাস: তীক্ষ্ম মেধাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীগণ বাের্ড সর্বোচ্চ GPA পেতে পারে ও | মেধা তালিকায় যাতে স্থান লাভ করতে পারে এবং স্বল্প মেধাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীরাও যাতে সন্তোষজনক ফল লাভে সক্ষম হয় সে জন্যে উভয় গ্রুপের অতিরিক্ত বিশেষ কাসের ব্যবস্থা। করা হয়।
ছ. শিক্ষা সফর: কলেজের ছাত্রছাত্রীদের হাতে-কলমে শিক্ষা দেয়ার জন্য শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা রয়েছে।
ক) পাঠ্যক্রম: জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ড কর্তৃক অনুমােদিত বিষয়সমূহ।
খ) সহপাঠ্যক্রম: অত্র প্রতিষ্ঠানে পাঠ্যবই বহির্ভূত সহপাঠ্যক্রম বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং প্রতিযােগিতার ব্যবস্থা করা হয়। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দিবস উদ্যাপনে শিক্ষার্থীদের সরাসরি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযােগ দেওয়া হয়। কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন সহপাঠ্যক্রমসমূহের মধ্য থেকে সকল ছাত্রছাত্রীদের কমপক্ষে দুইটি কার্যক্রমে বাধ্যতামূলকভাবে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। পড়াশােনার পাশাপাশি নিজেকে একবিংশ শতাব্দীর যােগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তােলার জন্য সহপাঠ্যক্রমের গুরুত্ব অপরিসীম।
HSC Examination | Total | Passed % | GPA-5.00 |
2012(1st Batch) | 52 | 100% | 17 |
2013(2nd Batch) | 140 | 99% | 18 |
2014(3rd Batch) | 157 | 99% | 43 |
2015(4th Batch) | 167 | 99% | 28 |
2016(5th Batch) | 187 | 99.67% | 85 |
2017(6th Batch) | 167 | 99.40% | 11 |
2018(7th Batch) | 209 | 100% | 26 |
2019(8th Batch) | 247 | 100% | 46 |
2020(9th Batch) | 210 | 100% | 43 |
2021(10 Batch) |
সবচেনিক বিষয় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। মক্ষক ও অভিভাবকের সাথে পরামর্শ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া বাঞ্চনীয়। কোনাে মকাহী যদি কোনাে বিষয় বা বিভাগ পরিবর্তন করতে চায় তবে তাকে ক্লাস শুরু হওয়ার ১ সব মধ্যে ফি জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করে অধ্যক্ষ মহােদয় বরাবর দরখাস্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধ
ভত বাতিল ও ছাড়পত্র গ্রহণ: একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় কোনাে কারণে ভর্তি বাতিল বা ট্রান্সফার সাটিফিকেট নিতে চাইলে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রণীত নিয়ম অনুসরণ করতে। হবে এবং কলেজের প্রথম বছরে যাবতীয় খরচ পরিশোধ করতে হবে। দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় কোনাে কারণে ভর্তি বাতিল বা ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিতে চাইলে শিক্ষাবাের্ড কর্তৃক প্রণীত নিয়ম অনুসরণ করতে হবে এবং কলেজের দুই বছরের যাবতীয় খরচ পরিশোধ করতে হবে।
কাস ক্যাপ্টেন নির্বাচন: প্রতিটি ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে থেকে তিনজন ক্লাস ক্যাপ্টেন। প্রত্যক্ষ ভােটে নির্বাচিত করা হয়। প্রতিটি ক্লাসের ক্যাপ্টেনকে ১ম, ২য় ও ৩য় ক্যাপ্টেন হিসেবে আকর্ষণীয় ব্যাজ প্রদান করা হয়। সকল নির্বাচিত ক্যাপ্টেনদের প্রত্যক্ষ ভােটে আবার একজন কলেজ ক্যাপ্টেন নির্বাচিত করা হয়। সকল ক্লাস ক্যাপ্টেন ও কলেজ ক্যাপ্টেন এর মাধ্যমে কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করতে পারবে। এছাড়াও ক্লাসের শৃঙ্খলা রক্ষা, সকল ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজ ইউনিফর্ম পরিধান করা, কলেজের পরিবেশের উন্নয়ন, শ্রেণিকক্ষের সৌন্দর্য বর্ধিতকরণ, বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য ক্লাস ক্যাপ্টেন এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়।
নিয়ম-শৃঙ্খলা বিধি: শিক্ষার চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হলাে সুশৃঙ্খলভাবে ও সুপরিকল্পিত উপায়ে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির (intellectual), মানবিক (mantel), ও আধ্যাত্মিক (spiritual) সত্ত্বার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটানাে। সুতরাং, মানুষের দৈহিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক প্রতিভার যথার্থ প্রতিফলন ঘটানাের জন্য সার্বিক শৃঙ্খলা হচ্ছে একটি অত্যাবশ্যকীয় পূর্বশর্ত। বাস্তবে দেখা যায় যে, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা জাতি নিয়ম-শৃঙ্খলার প্রতি যত বেশি নিষ্ঠাবান, সে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা জাতি তত বেশি। উন্নত। গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজ এর লক্ষ্য হচ্ছে জাতিকে শিক্ষিত, সুশৃঙ্খল, দক্ষ, সৎ ও নিষ্ঠাবান জনশক্তি উপহার দেয়া। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কলেজের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে নিম্নলিখিত নিয়ম-শৃঙ্খলা বিধিসমূহ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নিযুক্ত বিভাগ সমূহ কার্যক্রম:
প্রশাসনিক ও উন্নয়ন বিভাগ: এই বিভাগ প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা ও তত্তাবধান করে থাকে। নিবাহী কমিটির সিদ্ধান্তসমহ বাস্তবায়নে প্রয়ােজনীয় কার্যক্রম পিরচালনা করা সহ উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা ননা গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন করা সংক্রান্ত সকল কাজকর্ম পরিচালনা। করে থাকে। সেই সাথে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের প্রয়ােজনীয় সহযােগিতা প্রদান করাও এই বিভাগের অন্যতম কাজ।
আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ: এ বিভাগ কলেজের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সকল কাজকর্ম পরিচালনা করে থাকে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ: এ বিভাগ ছাত্র-ছাত্রী এবং সংশ্লিষ্টদের অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সকল সুযােগ-সুবিধা প্রদানে কাজ করে থাকে। এছাড়া শিক্ষা এবং কলেজের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রয়ােজনীয় তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং সরবরাহ করার কাজ করে থাকে।
একাডেমিক ভবন: আধুনিক ডিজাইন। এবং উন্নত প্রযুক্তিতে ৬ (ছয়) তলা ফাউন্ডেশনের ২০,০০০ বর্গফুট আয়তনের সুবিশাল ভবন। প্রচুর আলাে বাতাস সমৃদ্ধ সুবিন্যস্তভাবে নির্মাণ করা হয়েছে শ্রেণিকক্ষসমূহ।
অভ্যর্থনা ও তথ্য কেন্দ্র: তথ্য কেন্দ্র থে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক এবং আগত দর্শনার্থী ভে সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকার তথ্য এবং সহযােগিতা প্রদান করা হয়। তথ্য কেন্দ্রটি কলে প্রবেশ করার প্রধান ফটক সংলগ্ন।
প্রশাসনিক কার্যালয় : অভ্যর্থনা এবং তথ্য কেন্দ্রের পূর্ব পার্শ্বে কলেজের প্রশাসনিক কার্যালয়। এ কার্যালয় থেকে প্রশাসনিক এবং উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের এই কেন্দ্র থেকে প্রয়ােজনীয় সেবা প্রদান করা হয়।
কম্পিউটার ল্যাবঃ ছাত্র ছাত্রীদের তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞানের ভান্ডার কে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে কলেজে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি কম্পিউটার ল্যাব। এই ল্যাবে ছাত্রছাত্রীরা ব্যবহারিক শিক্ষা সহ কম্পিউটার ব্যবহার করা এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের সাথে যোগাযোগ ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা লাভ করতে পারে।
স্টুডেন্ট ক্যাফেটেরিয়াঃ কলেজে রয়েছে একটি আধুনিক মানের ক্যাফেটেরিয়া ।ফলে টিফিনের সময় কোন ছাত্রছাত্রীকে কলেজ ক্যাফেটেরিয়া বাইরে যেতে হয় না ।বাড়ি থেকে নিয়ে আসা খাবার সামগ্রী খাবার সুযোগ রয়েছে।
বিজ্ঞানাগার:- ঢাকার সেরা কলেজগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে কলেজে প্রতিষ্ঠা করে করা হয়েছে সকল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ একটি বিজ্ঞানাগার।বিজ্ঞানাগারে ছাত্র-ছাত্রী একজন অবশ্য শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক শিক্ষা গ্রহণ করতে এবং গবেষণা করে নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে পারে।
কলেজ লাইব্রেরিঃ- কলেজে রয়েছে সুসজ্জিত একটি আধুনিক মানের সমৃদ্ধ লাইব্রেরী ।যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার জন্য রয়েছে পৃথক ব্যবস্থ।একজন ছাত্র ছাত্রী তার নিজস্ব লাইব্রেরী কার্ড লাইব্রেরিয়ান এর নিকট জমা রেখে প্রয়োজনীয় বই নিতে এবং অধ্যায়ন করতে পারে।
কলেজ পরিবহন ব্যবস্থাঃ দূর-দূরান্ত থেকে আগত ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজের নিজস্ব পরিবহন এর মাধ্যমে যত সুবিধা প্রদান করা হয় কলেজের পরিবহনব্যবস্থা সংযুক্ত রয়েছে। আধুনিক সুবিধা সম্বলিত গাড়িবহর ফলে ছাত্রছাত্রীদের সহজে কলেজ ক্যাম্পাসে পৌঁছে যাচ্ছে ঝামেলা বিহীন।
অভ্যর্থনা ও তথ্যকেন্দ্রঃ তথ্যকেন্দ্র থেকে ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক এবং আগত দর্শনার্থীদের কলেজ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকার তথ্য এবং সহযোগিতা প্রদান করা হয় ।তথ্যকেন্দ্র কলেজে প্রবেশ করার প্রধান ফটক সংলগ্ন।
প্রশাসনিক কার্যালয়ঃ অভ্যর্থনা এবং তথ্যকেন্দ্রের পূর্বপাশে কলেজের প্রশাসনিক কার্যালয়। এই কার্যালয় থেকে প্রশাসনিক এবং উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় ।ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের এই কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হ…
স্টুডেন্ট লাইব্রেরিঃ ছাত্রছাত্রীরা যাতে তাদের প্রয়োজনীয় বই খাতা কলম সহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ হাতের কাছে এবং সুলভ মূল্যে সংগ্রহ করতে পারে তার জন্য ক্যাম্পাসে রয়েছে স্টুডেন্ট লাইব্রেরি।
শিক্ষামঞ্চ ও উন্মুক্ত খেলার মাঠ: ছাত্রছাত্রীদের দৈনন্দিন এ্যাসেম্বলি/ প্ৰত্যিহিক সমাবেশ, ক্রীড়া অনুষ্ঠান, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য শিক্ষামঞ্চ ও উন্মুক্ত খেলার মাঠ ব্যবহার করা হয়।
কলেজ লেক: কলেজের পরিবেশকে সুন্দর এবং ছাত্র-ছাত্রীদের বিনােদনের জন্য ৩ বিঘা আয়তনের মনােরম একটি লেক করা রয়েছে। এই লেকটি যে কোনাে মানুষের মন ও দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
আবাসিক সুবিধা : ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে কলেজ হােস্টেল সুবিধা চালু করা হয়েছে। সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আধুনিক সুযােগ-সুবিধা সমৃদ্ধ মনােরম। পরিবেশে ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক সুবিধা রয়েছে।
এড় স্মার্ট: শিক্ষার্থীদের একাডেমিক মানােন্নয়নের উদ্দেশ্যে “এডু স্মাট” ডিজিটাল পদ্ধতি চালু রয়েছে। এই পদ্ধতিতে অতি অল্প সময়ে মােবাইলে এস.এম.এস, এর মাধ্যমে অভিভাবকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীদের একাডেমিক যাবতীয় তথ্য পৌছানাে হয়ে থাকে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় “এডু স্মাট ” ডিজিটাল পদ্ধতি নারায়ণগঞ্জ জেলায় একমাত্র আমাদের প্রতিষ্ঠানেই সর্বপ্রথম শুরু হয়।
শ্রণিকক্ষ: কলেজে রয়েছে সুবিন্যস্ত, স-প্রশস্ত এবং পরিচ্ছন্ন আধুনিক শ্রেণিকক্ষ। যেখানে রয়েছে পর্যাপ্ত আলাে বাতাসের ব্যবস্থা।
অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা কেন্দ্র: কলেজে রয়েছে সুবিন্যস্ত, সু-প্রশস্ত এবং পরিচ্ছন্ন আধুনিক অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা কেন্দ্র।
নামাযের স্থান: কলেজে ক্যাম্পাসে ওয়াক্তের নামায আদায়ের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক নামাযের স্থান রয়েছে।
টিচার স্টুডেন্ট কনভেনশন সেন্টার: ছাত্র-ছাত্রীদের টিচার স্টুডেন্ট কনভেনশন সেন্টার। জন্য রয়েছে ১,০০০ (এক হাজার) আসন বিশিষ্ট সু সজ্জিত একটি কনভেনশন সেন্টার। যেখানে ছাত্র* co ছাত্রীদের বিভিন্ন প্রকার সহ-শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এছাড়া শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সেমিনার, সিম্পােজিয়ামসহ ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন প্রকার অনুষ্ঠান এবং প্রতিযােগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। জাতীয়-আন্তর্জাতিক দিবস উদ্যাপন অনুষ্ঠান কলেজের “এ্যানুয়েল ডে” প্রভৃতি অনুষ্ঠানের ঢাকা শিক্ষাবাের্ডের চেয়ারম্যান ও কলেজ পরিদর্শক মহােদয় আয়ােজন করা হয়ে থাকে।
খেলাধুলা ও বিনােদন: একাডেমিক ভবনের সামনে রয়ে খােলা মাঠ এবং শিশু পার্ক। ছাত্র-ছাত্রীরা খেলাধুলা বিনােদনের জন্য এই মাঠ এবং পার্ক ব্যবহার করে থাকে এছাড়া ইনডাের ও আউটডােরে নিয়মিত খেলাম। সুযােগ রয়েছে। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযােগিতা, সাংস্কনি অনুষ্ঠানসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন প্রতিযােগিতামূলক অনুষ্ঠাণের আয়ােজন করা হয়।
১, ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে নির্ধারিত কলেজ ড্রেস, ব্যাজ, মনােগ্রাম এবং আই ডি কার্ড পরিধান করে কলেজে আসতে হয়।
২. ক্লাস চালু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজে প্রবেশ করতে হয়।
৩. ক্লাস ছুটি হওয়ার পূর্বে কোনাে ছাত্র-ছাত্রী বিনা অনুমতিতে কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে পারবে না।
৪. ক্লাস বিরতির সময় ক্যাফেটরিয়ায় বাড়ি থেকে আনা অথবা ক্যাফেটরিয়া থেকে খাদ্য ক্রয় করে খাওয়া যাবে, ক্যাম্পাসের বাইরে যাওয়া যাবে না।
৫. কোনাে ছাত্র-ছাত্রী পূর্বানুমতি ছাড়া একাধারে তিনদিন কলেজে অনুপস্থিত থাকলে। অভিভাবককে অধ্যক্ষের সাথে সাক্ষাত করতে হবে, অন্যথায় ছাত্র-ছাত্রীকে ক্লাস করার সুযােগ | দেওয়া হবে না।
৬. বিনা অনুমতিতে কলেজে অনুপস্থিতির কারণে প্রতিদিনের জন্য নির্ধারিত হারে জরিমানা দিতে হয়।
৭. প্রতিদিনের ক্লাসের পাঠদান কলেজের নির্ধারিত ডায়েরিতে লিখে নিতে হবে এবং দৈনন্দিন | ডায়েরি পর্যবেক্ষণ করে অভিভাবককে নির্ধারিত স্থানে স্বাক্ষর ও তারিখ লিখে দিতে হবে।
৮. ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়মিত ক্লাস টেস্ট, মডেল টেস্ট এবং বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এবং উত্তীর্ণ হতে হবে।
৯. ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজে অবস্থানকালে ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে হবে৷
১০. ক্লাস টেস্ট, মডেল টেস্ট এবং বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ছাত্র- ছাত্রীদের সরবরাহ করা হয়। এ সিলেবাস অনুযায়ী শ্রীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
১১. সরকার অনুমােদিত পাঠ্য বই ছাড়াও অতিরিক্ত ধর্মীয় এবং ইংরেজি বিষযে ছাত্র- ছাত্রীদের পাঠদান করানাে হয়।
১২. পাঠ্য বিষয় ছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের সহপাঠ্যক্রম বিষয়ের মধ্যে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, হামদ-নাত, গজল, স্কাউট, গার্লস গাইড, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, সাহিত্য, বিতর্ক প্রতিযােগিতা, অঙ্কন, হস্তলেখা, হাতের কাজ, সেবামূলক কাজ, নাচ-গান প্রভৃতি বিষয়ের মধ্যে কমপক্ষে তিনটি বিষয়ে অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক।
১৩. ধমীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক।
১৪. প্রতি বছর অভিভাবকদের নিয়ে দুইদিন অভিভাবক দিবস পালন করা হয়। অভিভাবক দিবসের কর্মসূচিতে অভিভাবকের অংশগ্রহণ করতে হয়।
১৬. বার্ষিক মিলাদ, পিকনিক এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে অভিভাবকদের অঅংশগ্রহণের জন্য আমন্রন জানানো হয়।
17.যে সকল শিক্ষার্থী নামাজ শখেনি তাদের নামাজ শিখানো হয়।
18. ছাত্র ছাত্রীদের কলেজে আসা যাওয়ার সময় ভদ্রতা বজায় রাখতে হবে।
19.বিভিন্ন পরিক্ষার ফি, ডায়েরি,ব্যাজ,আই.ডি কার্ড,মনোগ্রাম প্রভৃতির মূল্য কলেজ কতৃপক্ষ কতৃক নির্ধারিত করা হয়।
20. মাসিক বেতন পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।১০তারিখের পর প্রতিদিনের জন্য দৈনিক ৫ টাকা হারে জরিমানা সহ মাসিক বেতন প্রদান করতে হবে
21. প্রতিদিন অনুপস্থিতির জন্য ৫০ টাকা হারে জরিমানা প্রদান করতে হবে। আর কলেজ থেকে পলায়ন করলে ৩০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল কলেজের লক্ষ্য হচ্ছে জাতিকে সু-শিক্ষিত, সু-শৃঙ্খল, দক্ষ, নিষ্ঠাবান জনশক্তি উপহার দেয়া। এ লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কলেজের প্রত্যেক কারীকে নিম্নলিখিত নিয়ম-শৃঙ্খলা বিধিসমূহ নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হয়।
শিক্ষার্থীদের আচার-আচরণ:
1. নজের প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর নম্র, ভদ্র, শালীন ও আদর্শ ছাত্র সুলভ আচরণ বাঞ্চনীয়। ক্লাসে সময়ে উপস্থিতি ও নীরবতা, পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলা রক্ষা করা একান্তভাবে কাম্য।
2. নয়র ছাত্র-ছাত্রীরা, সিনিয়র ছাত্র-ছাত্রীদের বড় ভাই-বােন এবং সিনিয়র ছাত্র-ছাত্রীরা, নিয়র ছাত্র-ছাত্রীদের ছােট ভাই-বােন মনে করবে এবং তদানুযায়ী আচার-আচরণ করবে। শিক্ষকদের প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের ভদ্র, শালীন ও মার্জিত আচরণ হওয়া বাঞ্চনীয়।
3. শিক্ষকদের প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের ভদ্র, শালীন ও মার্জিত আচরণ হওয়া বাঞ্চনীয়।
4. যাবতীয় সম্পদ পবিত্র আমানতরূপে গণ্য করা উচিত এবং এগুলাে সুস্থ "সক্ষণাবেক্ষণে সার্বিক সহযােগিতা কাম্য। ক্লাস রুমের দেয়াল, মেঝে, বেঞ্চ, টেবিল, স্কুলের প্রতিরাঙ্গণ ইত্যাদি কোনােভাবে যেন অপরিচ্ছন্ন না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা বাঞ্চনীয়
5. অত্র কলেজের ছাত্রদের মাথার চুল ও পােশাক মার্জিত হওয়া আবশ্যক।
6. কলেজ ক্যাম্পাসে মােবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।
7. কলেজ প্রাঙ্গণে প্রবেশের পর জরুরি অবস্থা, জটিল সমস্যা ও স্বাস্থ্যগত মণ মা ফটিল সমস্যা ও স্বাস্থ্যগত চরম অবনতি ভাল ছুটি দেয়া হবে না।
8. ডায়ের, পরীক্ষার খাতা, পরিচয়পত্র ইত্যাদির স্বাক্ষর নকল করা, কোনাে রকম লেখা মুছে | ফেলা, ঘষামাজা করা বা ছিড়ে ফেলা শাস্তিযােগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
9. পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনকারী শিক্ষার্থীদের কলেজ হতে বাধ্যতামূলক টি.সি. দেওয়া হবে।
10. এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পর কোনাে অবস্থাতেই বাের্ডের অনুমতি ছাড়া ভর্তি বাতিলের আবেদন করা যাবে না।
11. ক্লাস চলাকালীন অভিভাবক ছাড়া অন্য কেউ শিক্ষার্থীর সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবে না।
12. ফোনে শিক্ষার্থী ক্লাস চলাকালীন কাসের বাইরে থাকতে পারবে না। কাস না থাকলে লাইব্রেরি অথবা মিলনায়তনে অবস্থান করতে হবে।
ডায়েরি ব্যবহার: অভিভাবককে তাঁর সন্তানের অবস্থা সম্পর্কে সর্বদা অবগত থাকার লক্ষ্যে ছাত্রহাত্রীদের শিক্ষার মান, আচার-আচরণ ও উপস্থিতি সম্পর্কিত নানা তথ্য সমৃদ্ধ ডায়েরি ব্যবহারের বিধান রয়েছে। এই ডায়েরি শিক্ষকের সঙ্গে অভিভাবকের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। ডায়েরি হারিয়ে গেলে শ্রেণিশিক্ষকের মাধ্যমে অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন করে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে Duplicate ডায়েরি সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিদিনের ডায়েরি অভিভাবক পর্যবেক্ষন করে নির্ধারিত স্থানে স্বাক্ষর করে। দিবেন।
হােমওয়ার্ক ও এ্যাসাইনমেন্ট: প্রতিটি বিষয়ের জন্য শিক্ষকগণ হােমওয়ার্ক প্রদান করেন, যা। হােমওয়ার্ক খাতায় লিখে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নিকট জমা দিতে হবে এবং বিভিন্ন বিষয়ের। অ্যাসাইনমেন্টসমূহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নিকট জমা দেয়া বাধ্যতামূলক।
ক্লাস উপস্থিতি: প্রতিটি বিষয়ে ন্যূনতম ৮০% উপস্থিতি থাকা আবশ্যক। অসুস্থতা ছাড়া অন্য কোনো কারণে কোনাে বিষয়ে ৮০% এর কম উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীকে অত্র কলেজে পড়াশােনা চালিয়ে যাবার সুযােগ দেওয়া হয় না এবং এ ব্যাপারে তার কিংবা তার অভিভাবকের কোনাে আপত্তি গ্রহণযােগ্য নয়। তাই সংশ্লিষ্ট ছাত্র-ছাত্রীকে নিজ দায়িত্বে কলেজ থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে৷
গাইড শিক্ষক: প্রত্যেক সেকশনে জন্য এক বা একাধিক গাইড আচরণের বিষয়টির কি স্যারের নজরে আনেন এ রুক থাকেন। তারা কোসসমূহের অগ্রগতি, কাস টেস্ট। Nথপিত, ক্লাস টেস্ট, সেমিস্টার ও কাস উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও পর্যালােচনা করেন। এছাড়া তারা নিজ নিজ তে নার বিষয়টির বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখেন এবং এতদসংক্রান্ত অনিয়ম পরিলক্ষিত | শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের দৈনন্দিন আচারনজরে আনেন এবং প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। শ্রেণি গাইড রকশন/ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক ও পদ e সংক্রান্ত অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তা অধ্যক্ষ গ্রহণ করেন। শ্রেণি গাইড শিক্ষকগণ স্ব - স্ব নর্দেশক হিসেবে ভূমিকা পালন করে থাকেন।
শিক্ষা সফর: শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণে বৈচিত্র আনার লক্ষ্যে তাদের জন্য দেশের ঐতিহাসিক স্থানে শিক্ষা সফর ও বনভােজনের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিত যােগাযােগ: কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত গাইড টিচার ও অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে পত্র ও টেলিফোনের মাধ্যমে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিত যােগাযােগ করার ব্যবস্থা রয়েছে।
ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা: প্রত্যেক ধর্মের ছাত্র-ছাত্রীদের নিজ নিজ ধর্মের বিধি বিধান মেনে চলতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্য বিষয় ছাড়াও অতিরিক্ত ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে থাকেন।
শিক্ষার মূল লক্ষ্য জ্ঞান অর্জন করা। জ্ঞান অর্জনের মূল্য লক্ষ্য অর্জিত জ্ঞান দ্বারা ইহকাল এবং পরকালের কল্যাণ অর্জন করা। ইহকাল এবং পরকালের কল্যাণ অর্জন করতে স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ জীব। মানুষকে আল্লাহর এবাদত করতে এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হয়। আমরা আমাদের কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখার পাশাপাশি দেশ এবং মানুষের সেবা দেওয়ার মনোভাব গড়ে তােলার জন্য “সেবা শিক্ষা প্রকল্প পরিচালনা করে যাচ্ছি।
১. বস্ত্র ব্যাংক;
২. ব্লাড ব্যাংক
এই প্রকল্প ২টির জন্য পৃথক পৃথক প্রকল্প কমিটি রয়েছে। কমিটিতে কলেজ পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক-অভিভাবিকা, ছাত্র-ছাত্রী এবং সমাজসেবক প্রতিনিধিগণ রয়েছেন।
প্রতিটি প্রকল্পের জন্য বছরে এক সপ্তাহ করে পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়া সারা বছর ধরে সদস্যগণ প্রকল্পে দান করে থাকেন এবং ঐ দানের অর্থ দ্বারা মানুষের সেবা দান করা হয়ে থাকে। এছাড়া ঈদ, পূজা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মুহূর্তে সাধ্যমত সাহায্যসহযােগিতা ও সেবা দান করা হয়ে থাকে।
১. বস্ত্র ব্যাংক: এই প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে প্রকল্পের সদস্য এবং দানশীল ব্যক্তিবর্গ থেকে বস্ত্র এবং অর্থ সংগ্রহ করে বস্ত্রসমূহের মজুদ গড়ে তােলা। এবং তা দিয়ে অভাবগ্রস্থ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে। ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য-সহযােগিতা করা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের আর্থিক দিক বিবেচনা করে তাদের স্কুল-কলেজ ড্রেস তৈরি করে দেওয়া হয়।
২. ব্লাড ব্যাংক: এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, প্রকল্পের সদস্যদের ব্লাড গ্রুপ পরীক্ষা করে রেকর্ড সংরক্ষণ করা। প্রয়ােজনীয় মুহূর্তে রােগীর জন্য রক্ত সরবরাহ করা এছাড়া অর্থ সংগ্রহ করে তহবিল গঠন করে দুস্থ রােগীদের সহযােগিতা করা।
আল্লাহর প্রতি ভরসা কর, কর্মবিধানে আল্লাহই যথেষ্ট। (সূরা: আল নিসা, আয়াত-৮১)