সিজদায় বান্দা তার রবের সর্বাধিক নিকটবর্তী হয়, সুতরাং বেশি দুআ করো। (সহীহ মুসলিম-৪৮২)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ পাকের জন্য।
এই মহাবিশ্বের সবকিছুই সুশৃঙ্খল ও সুনিয়ন্ত্রিত, কিন্তু মনুষ্য সমাজেই যত নৈরাজ্য ও অরাজকতা বিদ্যমান। এর কারণ একটাই, মহান স্রষ্টা ও প্রতিপালকের প্রদত্ত বিধি বিধান অন্য সব ক্ষেত্রে কার্যকরী হলেও মানুষের সমাজে তা উপেক্ষিত। আমরী ঐশ্বরিক বিধান তথা আল-কোরআনের শিক্ষার বাইরে ভিন মত ও পথের মধ্যে সুখ শান্তির অন্বেষণে ব্যস্ত। আমরা তাই প্রচলিত শিক্ষার সাথে পবিত্র। কোরআন এবং হাদিসের শিক্ষার সমন্বয় ঘটিয়ে শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে চরিত্রবান ও আদর্শবান আলােকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যাতে তারা ইহকাল এবং পরকালীন কল্যাণ। লাভ করার কাজে মনােযােগী হতে পারে।
শিক্ষার্থীদের শরীর, মন ও আত্মার সুষম (Harmonious) উন্নতির লক্ষ্যেই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। জন্ম। এই লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করার জন্যই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রয়েছে নিজস্ব কিছু কার্যক্রম এবং অনুশাসন। যা শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হয়।
কলেজে আমরা শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে ভালাে ফল করার পথ দেখাব, পাঠ-পরিকল্পনা দিব এবং আদায় করে নেয়ার চেষ্টা করব। এই কাজটি করতে অভিভাবককে সচেতন এবং যত্নবান হতে হবে। নিয়মিত স্কুলে উপস্থিতি নিশ্চিত করা, ডায়েরি দেখে পাঠ পরিকল্পনা বাড়িতে প্রস্তুত করার প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা অভিভাবককে গ্রহণ করতে হবে। কোনাে অসৎ সঙ্গীর সাথে যাতে মিশতে না পারে, কোনাে অসৎ কাঁজে যাঁতে জড়াতে না পারে, শিক্ষার্থী অবস্থায় মােবাইল ফোন যাতে ব্যবহার করতে না পারে তার জন্য তীক্ষ দৃষ্টি রাখতে হবে। আদর, স্নেহ, ভালোবাসার পাশাপাশি শাসনে রাখতে হবে। এক কথায় “মানুষের সব চাইতে বড় সম্পদ “সন্তান”- এর প্রতি সর্বাধিক যত্ন নিতে হবে।
এই প্রতিষ্ঠান একটি অরাজনৈতিক ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইহকাল ও পরকালের উভয় জগতের জ্ঞানসমূহকে একটি সুষ্ঠু নীতিমালার মাধ্যমে সমন্বয় সাধন করে একটি মডেল হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তােলার চেষ্টায় অভিভাবক/অভিভাবিকা, শিক্ষক/শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক সহযােগিতা প্রয়ােজন। শিক্ষার্থীরা যদি প্রকৃত শিক্ষা লাভ করে দেশ ও মানুষের সেবায় আত্মনিয়ােগ করে তবেই আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস সার্থক হবে। এ ক্ষুদ্র প্রয়াটুকু আখেরাতে আমাদের মুক্তির উপায় হতে পারে। আল্লাহ্ আমাদের এ প্রয়াটুকু কবুল করুন। আমীন।
বীর মুক্তিযােদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন অধ্যক্ষ